Saturday, December 1, 2012

বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার নামে প্রতারক হইতে সাবধান

নেত্রকোণার আলো ডেস্ক : আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নেত্রকোণা সদর উপজেলার নিউটাউন বিলপাড়স্থ খসরু মিয়া বাসায় জৈনিক অখ্যাত আয়ুর্বেদিক চিকিসক পরিচয়ে বাপ্পী নামের একজন প্রতারক ঢাকা থেকে এসে হাজির হয়। খসরু মিয়ার ২য় পুত্র সন্তান ফাহিম মিয়া একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। উক্ত প্রতারক চিকিসক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ফাহিমকে পাগল বলে মন্তব্য করে। তখন ওই জাগায় উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণা প্রতিবন্ধী বিষয়ক গবেষক রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক বিদ্যালয় সুইট বাংলাদেশে নেত্রকোণা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই চিকিসকে বলেন- আধুনিক চিকিসা বিজ্ঞানে পাগল বলে কোন শব্দ নেই এবং তার পরিচয় জানতে চাইলে প্রতারক চিকিসক বাপ্পী চৌধুরী নিজেকে আর্য়ুবেদ ভবন-ঢাকা হইতে হাতে কলমে প্রশিক্ষক হাকিম হিসাবে দাবি করে বলেন, পাগল ফাহিমকে সে ৭ দিনের মধ্যে ভাল করে দিবে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে।

তখন প্রতিবন্ধী বিষয়ক গবেষক গোলাম মোস্তফা বলেন-শিশুটি পাগল নয়, সে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এটি একটি স্থায়ী সমস্যা, এর বিজ্ঞান সম্মত চিকিসা বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীতে নেই। তাদেরকে বিশেষ শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাতে হয়, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে আপনি তাকে কিভাবে সাত দিনে ভাল করবেন। এ কথার কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে বাপ্পী একটা ফটোকপি করা প্রত্যয়ন পত্র বের করে দেখিয়ে দাবি করে সে এই ধরনের অনেক পাগলকে ভাল করেছে পরে প্রতিবন্ধী বিষয়ক গবেষক গোলাম মোস্তফা প্রত্যয়ন পত্রটি দেখে তাকে প্রতারক বলে সনাক্ত করেন। এবং মানুষের সাখে এধরনের প্রতরনা না করার জন্য সতর্ক করে দেন। তা না হলে আইন শৃংখলা বাহিনীকে জানানো হবে বলে সাবধান করে দেন ও নেত্রকোণা জেলা থেকে দ্রুত চলে যাওয়ার জন্পরামর্শ দেন।   

প্রতারক বাপ্পী আরো জানান, নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরে অবস্থান নিয়ে নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবন্ধীদের চিকিসা করে যাচ্ছে।

গবেষক গোলাম মোস্তফা আরো বলেন, আমাদেরকে ওই সব ভন্ড প্রতারক চিকিসক থেকে অভিবাবকসহ সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। 


               প্রত্যয়ন পত্রটি : 

No comments:

Post a Comment

undefined